Blog

অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহারকারীদের জন্য সুখবর: দ্রুত Qi2 ওয়্যারলেস চার্জিং

অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহারকারীদের জন্য সুখবর: দ্রুত Qi2 ওয়্যারলেস চার্জিং

ওয়্যারলেস চার্জিংয়ে নতুন যুগের শুরু, আসছে কিউ-টু প্রযুক্তি

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ খবর! ওয়্যারলেস পাওয়ার কনসোর্টিয়াম (WPC) ঘোষণা দিয়েছে তাদের নতুন ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ডার্ড – Qi2 (কিউ-টু)। এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন থেকে স্মার্টফোনে ২৫ ওয়াট পর্যন্ত ওয়্যারলেস চার্জিং সম্ভব হবে। ফলে ওয়্যারলেস চার্জ হবে আগের চেয়ে অনেক দ্রুত ও কার্যকর।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, গুগলের আসন্ন Pixel 10 সিরিজের ফোনগুলোতে প্রথমবারের মতো এই কিউ-টু প্রযুক্তি দেখা যেতে পারে। এর মাধ্যমে ওয়্যারলেস চার্জিং আবারও গ্রাহকের আগ্রহ পেতে পারে।

ওয়্যারলেস চার্জিং এতদিন সীমাবদ্ধ কেন ছিল?

বিভিন্ন ব্র্যান্ড যেমন ওয়ানপ্লাস, শাওমি ও অপো তাদের নির্দিষ্ট মডেলে ৫০ থেকে ৮০ ওয়াট পর্যন্ত ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা নিয়ে এসেছে। তবে এসব প্রযুক্তি ছিল একান্তই ব্র্যান্ড-নির্ভর এবং স্ট্যান্ডার্ড নয়। অন্যদিকে অ্যাপল, গুগল ও স্যামসাং WPC অনুমোদিত স্ট্যান্ডার্ডই অনুসরণ করে, যার ফলে তাদের ফোনে ওয়্যারলেস চার্জের গতি এখনো ১৫ ওয়াটে সীমাবদ্ধ ছিল। এতে ওয়্যারলেস চার্জিং নিয়ে গ্রাহকের আগ্রহও অনেকটা কমে গিয়েছিল।

কেন কিউ-টু আলাদা?

নতুন কিউ-টু প্রযুক্তি শুধু গতি বাড়াবেই না, বরং ফোন চার্জ করার সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ব্যাটারির স্থায়িত্ব রক্ষা ও নিরাপত্তার দিকেও নজর রাখবে। ফলে এটি হবে অনেক বেশি নিরাপদ এবং ব্যাটারির আয়ু বাড়াতেও সহায়ক।

এছাড়া, এখন বাজারে যেসব স্মার্টফোনে সিলিকন-কার্বন ব্যাটারি ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলো চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা ও দীর্ঘস্থায়িত্ব অনেক বেড়েছে। এই ব্যাটারি প্রযুক্তির সঙ্গে কিউ-টু যদি সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে ওয়্যারলেস চার্জিং হয়ে উঠবে আরও দ্রুত, নিরাপদ ও জনপ্রিয়।

এখনকার তারযুক্ত চার্জিংয়ের চেয়ে কিউ-টু কেমন?

বর্তমানে অনেক স্মার্টফোনে ১০০ থেকে ১২০ ওয়াট পর্যন্ত তারযুক্ত চার্জিং দেখা যায়, যা মাত্র ২০–৩০ মিনিটেই ফোনের ব্যাটারি ফুল চার্জ করতে পারে। তুলনায় ওয়্যারলেস চার্জিং অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। তবে কিউ-টু প্রযুক্তির কারণে ওয়্যারলেস চার্জিং ব্যবহারে নতুন করে আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।

শেষ কথা

নতুন কিউ-টু প্রযুক্তি শুধু স্পিড নয়, নিরাপত্তা ও ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে ওয়্যারলেস চার্জিং অভিজ্ঞতাকে এক ধাপ এগিয়ে নেবে। এখন দেখার বিষয়, কোন ব্র্যান্ড এটি সবার আগে নিয়ে আসে এবং ব্যবহারকারীদের কেমন সাড়া মেলে।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Have a project in mind? Let’s talk.